আমার 25 বছর টিউশন লাইফের ইতিহাস (ইংলিশ সেন্টার)


ইংলিশ সেন্টার 25 বছর

আমার টিউশন লাইফের ইতিহাস


আজ 5ই জানুয়ারী, 2022 “ইংলিশ সেন্টার” 25 বছরে পদার্পন করলো (রজত জয়ন্তী)। পঁচিশ বছর আগে 1998 সালে 5ই জানুয়ারি 4 জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলাম। প্রথম দিন 4 জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শুরু করলেও জানুয়ারি মাসের মধ্যে 61 জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে 2 টি ব্যাচে ভাগ করে পড়ানো শুরু হয়। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।


***** আমার শিক্ষালাভ ও জীবনের উদ্দেশ্য *****

আমার শিক্ষাজীবন শুরু আমার বাড়িতে পিতা-মাতার কাছে এবং দাদার সাহায্যে। তারপর আঁইশমালী পূর্ব পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (আমার বাড়ির পাশে) থেকে আমি ক্লাস ফোর পাশ করে সরিষাডাঙ্গা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং 1996 সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে আমি রানাঘাট কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ওই সময় স্কুল এবং কলেজ উভয় প্রতিষ্ঠানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি পড়ানো হতো কিন্তু কলেজে প্রফেসরদের কাছে ইংরেজি শিখবো এই আশায় আমি রানাঘাট কলেজে ভর্তি হয়। 1998 সালে আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি এবং ওই সময় ছেলেদের মধ্যে রানাঘাট কলেজে আমি হায়েস্ট মার্কস অর্জন করেছিলাম (মার্কশিট নেওয়ার সময় অফিস থেকে যেটা জানানো হয়েছিল) এবং মেয়েদের মধ্যে আমার এক বান্ধবী হায়েস্ট মার্কস অর্জন করেছিল(মার্কশিট নেওয়ার সময় অফিস থেকে যেটা জানানো হয়েছিল: টপ-রেজাল্ট করার জন্য আমাকে এবং আমার বান্ধবীকে শিক্ষক সমীরদা আমাদের উপহার হিসেবে পেন প্রদান করেছিলেন) তখন রানাঘাট কলেজে ইংরেজি অনার্স কোর্স করানো হতোনা সেই কারণে সেখান থেকে আমি বনগাঁ দীনবন্ধু কলেজে (Affliated to Calcutta University) ভর্তি হই। আমি ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি ও D.E.L.T.কোর্স কমপ্লিট করি। আমার ইংরেজি শেখার বা জানার ক্ষেত্রে আমার দাদা সুকুমার ঘোষের অবদান ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

***** নিজে চাকরি করবো এই লক্ষ্য কেন্ ছিলনা?

উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় আমার বন্ধু-বান্ধবীদের আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় উঠে আসতো। সেখানে ইংরেজি বিষয়ে আলোচনা হতো এবং আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু- বান্ধবী ও সহপাঠীরা অনেকেই ইংলিশ নিয়ে ভীষণ ভয় পেত এবং পরবর্তীকালে এই ইংরেজির জন্য অনেকের পড়াশোনার জীবনে ইতি ঘটে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি ভীষণভাবে ভেবেছিলাম এবং এই বিষয়ে আমি অনেক বন্ধুকে পড়াশোনার জগৎ থেকে হারিয়ে যেতে দেখে মর্মাহত হয়েছিলাম। সেখান থেকে আমার মনে একটা জেদ জেগেছিলো- ইংরেজির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন ইতি ঘটে-এই বিষয়টা নিয়ে নিয়ে আমাকে ভীষণভাবে ভাবতে হবে এবং সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি নিয়ে সমস্যা কিভাবে সমাধান হবে এবং তারা কিভাবে ইংরেজিতে ভালো রেজাল্ট করতে পারে, ইংরেজি ভালোভাবে শিখে পরবর্তীকালে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বসে কিভাবে সফল হবে-এই চিন্তাভাবনা করতে করতে যখন আমার ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় (1998) ভালো ফল করল, ইংরেজিতে ভালো মার্কস পেল- তাদের সেই রেজাল্ট এবং অনেক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের ইংলিশ নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা দূর করার চেষ্টা করব এই অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম এবং ছাত্র-ছাত্রীর মনে জায়গা করে নিয়ে, তাদের ইংরেজি ভয় দূর করার ক্ষেত্রে আমি সফল হলাম। সেই ভাবে চলতে থাকল ইংরেজি পড়ানো এবং “ইংলিশ সেন্টার”-এর প্রভাব বিস্তার করা। তাই চাকরি করব এই কথা তখন থেকে আমি মাথায় আনিনি। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, চাকরি পাবে, ভালো জায়গায় পৌঁছাবে-এই উদ্দেশ্য ইংরেজি পড়াতে শুরু করলাম।
আমি নিজে চাকরির চেষ্টা না করলেও, আমার ছাত্র-ছাত্রীরা যদি চাকরি পেয়ে থাকে, উচ্চপদস্থ কোন জায়গায় যেতে পারে সেটা আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল। সেই জন্য চাকরির চেষ্টা নিজে করিনি। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো রেজাল্ট করবে এবং তারা ভালো ভালো জায়গায় পৌঁছাবে, তাদের সাফল্যে আমার আনন্দ, তাদেরকে নিয়েই আমার জীবনের অধিক সময় কেটে গেলো, ভবিষ্যতে আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করতে করতে জীবনটা কাটবে, আমি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সারা দিনরাত ভাবি তাদের কিভাবে উন্নতি করা যায়- এই চিন্তা ভাবনা আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, অন্য কোনো লক্ষ্য আমার জীবনে আর নেই।

* কোন উদ্দেশ্যে “ইংলিশ সেন্টার’’ প্রতিষ্ঠা করি
ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ইংরেজি শিখতে পারে, ইংরেজিতে ভালো রেজাল্ট করতে পারে, এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে, আমি 1998 সালে 5ই জানুয়ারি “ইংলিশ সেন্টার” স্থাপন করি। তখন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি বিষয় নিয়ে ভীষণ ভয় ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে, এদের মন থেকে ইংরেজি বিষয়ে ভয় একদম দূর করতে হবে যাতে তারা সহজ সরল ভাবে ইংরেজি শিখতে পারে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে ইংলিশ “ইংলিশ সেন্টার” স্থাপন করি এবং যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ইংলিশ সেন্টারে পড়াশোনা করেছে সকলের মন থেকে আমি ইংরেজি নিয়ে ভয় সম্পূর্ণ দূর করতে সক্ষম হয়েছি।
ছাত্র-ছাত্রীদের শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো মার্কস পাওয়া একমাত্র লক্ষ্য ছিল না, তারা যাতে ইংলিশ শিখতে পারে সেই উদ্দেশ্যে “ইংলিশ সেন্টার” স্থাপন করেছিলাম। 1998 সালের আগে এবং 1998-1999 সালে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা ইংলিশ পড়তে এলাকার বাইরে যেত কিন্তু “ইংলিশ সেন্টার” প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দু-এক বছরের মধ্যে এলাকার বাইরে পড়তে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল এবং ছাত্র-ছাত্রীরা “ইংলিশ সেন্টার”- এর উপর ভরসা করতে লাগল।
4 জন স্টুডেন্ট নিয়ে শুরু করলেও 05.01.2022 তারিখ পর্যন্ত ইংলিশে সেন্টারে আমি ৮৮ টি গ্রাম, 29 টি স্কুল থেকে 10 হাজার 763 জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছি, অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা আজ প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিবছর আমার ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল রেজাল্ট করছে। তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। তাদের শিক্ষার উন্নতি, ইংরেজি শিক্ষার উন্নতির জন্য আমি এই পর্যন্ত 6টা বই লিখে তাদেরকে উপহার দিয়েছি, যাতে তারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে উপকৃত হবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

***** পড়াশোনার জগতে ইতি ঘটতো *****
1998 সাল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংলিশ একটা ভূতের ভয়ের মত কাজ করতো। সকলেই ইংরেজি নিয়ে একটা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাতো এবং অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই H.S. পরীক্ষায় ইংলিশে ব্যাক পেত এবং তারা আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারতোনা অর্থাৎ তাদের পড়াশোনার জগতে ইতি ঘটতো। এই বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। তখন আমি ভালোবাসা ও বারং বার পড়া বোঝানোর সাথে সাথে কড়াহাতে (লাঠি হাতে) শাসন করতে শুরু করি। বেশ কজন ভয়তে টেস্ট পরীক্ষার পরে আর পড়তে আসেনি যারা আসলো তারা সবাই ভালো মার্কস সহ পাস করলো আর যারা আসতনা তারা সবাই ইংলিশে ব্যাক পেয়ে গেলো। ভালোবাসা ও বারংবার পড়া বোঝানোর সাথে সাথে কড়াহাতে (লাঠি হাতে) শাসন করলে সবাই পড়াশোনা করবে সেটা আমি প্রমাণ করেছিলাম। তাই ভালোবাসা ও বারংবার পড়া বোঝানোর সাথে সাথে কড়াহাতে (লাঠি হাতে) শাসনটা এখনো ধরে রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও ধরে রাখবো।

*** আমার গবেষণা ও অভিনব নিয়ম উদ্ভাবন
দীর্ঘদিন ধরে একটা বিষয় উপলব্ধি করছিলাম যে ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজির বিভিন্ন গতানুগতিক নিয়ম ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলো না। তখন আমি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে ইংরেজি গ্রামারের গতানুগতিক নিয়ম ভেঙে নতুনভাবে সমস্ত নিয়ম উদ্ভাবন করি। সেই নিয়মগুলি আমার ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে উপস্থাপন করি, সেই নিয়মগুলি তারা সহজেই বুঝে নিয়ে গ্রামারে দক্ষ হয়ে উঠতে থাকে। যে বিষয়গুলোর ওপর এ পর্যন্ত আমি অভিনভ নিয়ম উদ্ভাবন করতে পেরেছি- কর্তা ও ভার্ব চেনা, 12টা টেন্সের গঠন এক নিমেষে মনে রাখার পদ্ধতি, এক নিমেষেই টেন্স চিনতে পারার পদ্ধতি, নিজে থেকে অনায়াসেই হাজার হাজার বাক্য ও হাজার হাজার নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করার পদ্ধতি, ভয়েস চেঞ্জ, ন্যারেশন চেঞ্জ, জয়েনিং, টার্ন ইনটু সিম্পল, কম্পাউন্ড এবং কমপ্লেক্স সেন্টেন্স, স্প্লিটিং।

***** আমার গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম উদ্ভাবন *****
এপর্যন্ত গবেষণা করে যে সকল নিয়ম আমি প্রবর্তন করেছি তার মধ্যে সব থেকে অভিনব উদ্ভাবন হলো “হাউ টু গিভ আনসার ইন ইংলিশ ইজিলি” এবং “টেন্স ছাড়া বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ” যা ছাত্র ছাত্রীদের ইংরেজি শেখার ধারণাই বদলে দিয়েছে।

***** আমি কেন শাসন করি এবং আমার গবেষণা
দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র আমার মহান দেশ ভারত নয়, ভারত ছাড়া বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আমি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে গবেষণা করে আমি নিজস্বভাবে 53 টি শিক্ষাদান / শেখানোর পদ্ধতি ইনভেনশন করেছি এবং এগুলি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর প্রয়োগ করে আমি সফল হয়েছি। এই 53 টি শেখানোর পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আমার 11 থেকে 13 তা ক্লাস সময় লাগে এই অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমি 99 % ছাত্র-ছাত্রীকে উৎসাহ ও শেখাতে সফল হয় আর যে 1% ছাত্র ছাত্রী
শিখতে সক্ষম হয়না কারণ তারা শিখতে চায়না শুধুমাত্র পড়াশোনা করতে হবে তাই পড়তে আসে তখন আমি শাসন (লাঠি হাতে) শুরু করি এবং এদের কে সঠিক পথে ফেরানোর জন্য।এইভাবে প্রতি বছর অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে আমি পড়াশোনার মূল স্রোতে ফেরাতে সক্ষম হয়। ***** সবাই জানে আমি শাসনের পক্ষে, কারণটা আজকে জানালাম।*****
আমার গবেষণার 53 টি শিক্ষাদান / শেখানোর পদ্ধতি (AEC Process, AVS Process, GESTURING Process, SILENT LEARNERS ID process, Innovative rules for grammar and writing skill ইত্যাদি)আমি অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবো কিছুদিন পরে, এখন সম্ভব নয় কারণ বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের সঙ্গে গবেষণার স্বার্থে অঙ্গীকার বদ্ধ। চুক্তি শেষ হবে নভেম্বর 2022। আমার এই 53টি শেখানোর পদ্ধতি ইনভেনশনের জন্য ওয়ার্ল্ড জিনিয়াস রেকর্ডস নাইজেরিয়া ও ZIIEI অরবিন্দ সোসাইটি থেকে মেমেন্টো ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।আমার এই 53টি শেখানোর পদ্ধতি গ্লোবল রিসার্চ ফাউন্ডেশনে সাবমিট করা আছে 11 মাস পরে জানতে পারবো সেগুলি অভিনব কি না (অগাস্ট 2022 সেকেন্ড উইক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সবুজ সংকেত পাওয়ার জন্য)***** 53টি শেখানোর পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরেও না পারলে ছাত্র-ছাত্রীকে শাসন করাটা কি উচিত নয়? *****

***** সমালোচনা ও তার জবাব
প্রথমে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে সমালোচনা করেছিলেন- ইংলিশে সেন্টারে রেজাল্ট ভালো হবেনা কিন্তু অল্প সময়ের ভিতর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেছিলাম এবং ওই বছর অর্থাৎ 1998 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমার 2 জন ছাত্র-ছাত্রী এলাকার সব বিদ্যালয়ের মধ্যে ইংলিশে হায়েস্ট মার্কস পেয়ে ইংলিশ সেন্টারের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। 1998 সালে ইংলিশ সেন্টারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল 29 জন। পরের বছর 1999 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 51 জন যারা ইংলিশে সেরা রেজাল্ট করে সকলকে চমকে দিয়েছিলো। পরের বছর 2000 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 138 ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 73 জন যারা এলাকার সেরা রেজাল্ট করে ইংলিশ সেন্টারের নামকে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে দেয়। যাইহোক এভাবেই চলছে থাকলো ইংলিশ সেন্টারের পঠন-পাঠন।

*প্রথম, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেয়ারওয়েল দেওয়া শুরু করি
সাধারণত প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা আগে হয় এবং উচ্চ- মাধ্যমিক পরীক্ষা পরে পরীক্ষা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের পর ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে, এই কথা ভেবে আমি 1998 সালে প্রথম ফেয়ারওয়েলর আয়োজন করি যা এলাকায় আগে কখনো কেউ করেনি। তারপর থেকে ছাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের ফেয়ারওয়েল দেওয়ার প্রথা চালু হয় কারণ 1998 সালে আমি যখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে তখন আমাদের কোনো ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয়নি অর্থাৎ 1998 সাল পর্যন্ত এলাকায় ফেয়ারওয়েল দেওয়ার প্রথা চালু ছিলনা। অতএব আমি ছাত্র-ছাত্রীদের ফেয়ারওয়েল দেওয়ার আগে এলাকায় বা টিউশন নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কেউ ফেয়ারওয়েল দিয়েছে তেমন খবর আমার অজানা।

***** প্রায় ৭ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি তোলা আছে
স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ফেয়ারওয়েলের দিন ছবি তোলার ব্যবস্থা করি। এলাকায় কোনো স্টুডিও না থাকায় প্রথম কয়েক বছরের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী বছরগুলির ছবি তোলা আছে (প্রায় 7 হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি তোলা আছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য)। 2021 সালে পরীক্ষা না হওয়ার জন্য ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয়নি এবং ছবিও তোলা হয়নি (Miss you all)।

***** ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে উপহার
1998 সাল থেকে এই পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া ভালোবাসার উপহার গুলি সযত্নে ঘরের গ্যালারিতে সাজিয়ে রেখেছি স্মৃতি হিসেবে। ভালোবাসার এই উপহারের জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

***** সঠিক সময়ে পড়ানো শুরু
‘সময়’ হলো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। তাই প্রথম থেকে ‘সময়’-এর উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলাম। তখন অনেক প্রাইভেট টিউটর - সবাই না (কাউকে ছোট করছিনা, সকলকে সম্মান দিয়ে বলছি - সকলকে আমি সম্মান করি, কাউকে আমি ছোট করতে চাইছিনা সকল প্রাইভেট টিউটরকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। তবে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি যদি আমি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি আমি আগে থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি) সকালে 6টায় পড়া শুরু করবে বলে, সাড়ে ছটায় শুরু করতেন, বিকালে চারটেয় পড়া শুরু করবে বলে, সাড়ে চারটে শুরু করতেন কিন্তু আমি এই বিষয়টাকে সমস্ত দিক বিবেচনা করে ভেঙে দিয়। আমি সকাল ছটায় বলে, ছটায় পড়াতে বসতাম, বিকাল চারটে বলে, চারটেয় পড়াতে বসতাম এবং এখনো সঠিক সময়ে পড়াতে বসি। বিশেষ কারণ ছাড়া ‘NO LATE’ 5 মিনিট লেট করার মত কোন মানসিকতা আমি আজও তৈরি করিনি।

***** 1998 সালে আমার ঘোষণা
ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য আমি 1998 সালে 5ই জানুয়ারি পড়ানোর প্রথম দিনই ঘোষণা করি-ইংলিশ সেন্টারের নিজস্ব পরীক্ষায় বার্ষিক যতগুলো পরীক্ষা হবে, সব পরীক্ষার প্রাপ্ত মার্কস যোগ করে 90% পেলে ইংলিশ সেন্টারের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ইংলিশে লেটার মার্কস (৮০ বা ৮০+) পেলে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা দেব। অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো করবো এমত অবস্থায় 2017 সলে “সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা” আয়োজন করি (সামির দত্ত দাদা, প্রবীর রায়, জয়নাল আবেদীন মন্ডল যৌথভাবে) এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া শুরু করেছি।

***** 2022 সালে 25 বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঘোষণা
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ইংলিশে অনার্স বা মাস্টার ডিগ্রী কমপ্লিট করেছে বা করবে তাদেরকে, এছাড়াও বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষ ভূমিকা পালন করলে ইংলিশ সেন্টারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেবো।

** ফেয়ারওয়েল দিন কেন প্রতি বছর একই পোশাক
1998 সালে যেদিন ফেয়ারওয়েল দিয়, সেদিন আমার ছাত্র-ছাত্রীরা বলেছিলো দাদা এই পোশাক পরে তোমাকে একজন আদর্শ শিক্ষক রূপে পেলাম আমরা আর এই পোশাকটাই আমাদের জন্য লাকি হবে দেখো। ঘটনা চক্রে প্রত্যেকে খুব ভালো রেজাল্ট করলো যা তারা কখনো ভাবতে পারিনি। সেই থেকে ওই একই পোশাক (একই রঙের নেভি-ব্লু প্যান্ট & শার্ট)পরে ফেয়ারওয়েল দিয় এবং প্রত্যেকে ভালো রেজাল্টও করে। এটা সংস্কার, না কুসংস্কার, তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বোধ করিনি কখনো আর প্রয়োজনও নেয়, যা চলছে চলুক।

***** আমার বই প্রকাশ
পঠন-পাঠন উন্নতির কথা মাথায় রেখে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহে অনুপ্রাণিত হয়ে 2006 সালে আমার প্রথম বই “ফাদার অফ টেন্স এবং সেন্টেন্স’ প্রকাশিত হয়। তারপরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আমি নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য উক্ত বছরে প্রকাশ করলাম ‘অটোমেটিক সাকসেস অন পোয়েমস” বই। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রামারের সমস্যা মিটলেও, রাইটিং স্কিল-এর অনেক সমস্যা আমার চোখে পড়ল এবং রাইটিং স্কিল ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে সহজ সরলভাবে শেখানো যায় এই নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর 2013 সালে ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত “স্টেপ টু ইংলিশ” বই প্রকাশ করলাম।
তারপরে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে রেজাল্ট ভালো হয় এবং ইংরেজি সাবজেক্টটা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারে সে উদ্দেশ্য নিয়ে সেই বছরে প্রকাশ করলাম “ওয়ে টু ইংলিশ” বই। এইভাবে পড়াতে পড়াতে ওই বছরই অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রামারের তখনো অনেক সমস্যা রয়েছে, তাদের বুঝতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তাই দীর্ঘদিন ধরে লেখা এবং ওই বছরের আরো কিছু অভিজ্ঞতা জড়িয়ে উক্ত বছরেই প্রকাশ করলাম “শর্টকাট অফ ইংলিশ গ্রামার” বইটি।
প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কলেজ ও ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী এবং চাকরিপ্রার্থী অর্থাৎ কম্পেটিতিভ এক্সাম দেবে এমন ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে-সকলের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিন গবেষণা করে 2021 সালে প্রকাশ করলাম আমার দীর্ঘদিনের চিন্তা-ভাবনার স্বপ্নের বই “ইংলিশ গ্রামার ইনোভেশন” বইটি। এই বইটি ইংরেজি শেখার সমস্ত ধ্যান ধারনা পাল্টে দেবে কারণ ইংরেজি গ্রামারের বিভিন্ন গতানুগতিক নিয়ম নিয়ম ভেঙে দিয়ে নতুন করে আমি নিজের ভাবনা চিন্তা এবং গবেষণাকে এই বইয়ের পৃষ্ঠায় তুলে ধরেছি।“ইংলিশ গ্রামার ইনোভেশন” বইটি ইংরেজি গ্রামার শেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

***** আমার লেখা নতুন বই
রাইটিং স্কিল ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে আরও সহজ সরলভাবে শেখানো যায় এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করছি এবং খুব শীঘ্রই রাইটিং স্কিল ওপর নতুন বই প্রকাশ করবো। লেখা চলছে, আর কিছু দিনের অপেক্ষা।

***** আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের উন্নতির স্বার্থে 2018 সালে 17ই অগাস্ট সরিষাডাঙ্গা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ হাই স্কুল(H.S.)-এ আমি গেস্ট টিচার হিসেবে যোগদান করি। এই জন্য আমি প্রধান শিক্ষক মহাশয় সহ সকল শিক্ষককে এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে (বিশেষ করে সেক্রেটারি - সকলের প্রতি সম্মান জানিয়ে নাম গুলো উল্লেখ করলাম না) ধন্যবাদ জানাই। দীর্ঘদিন সেখানে পড়ানোর পর করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলো, তারপর সেই কাজ ওখানেই স্থগিত হয়ে রইলো।
2020 সালে আমার শিক্ষার জীবনে ঘটে গেলো এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 2020 সালে দিল্লি based K.I.T.E.S. এডুকেশন-এর পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি সাধন ও শিক্ষার ওপর বিভিন্ন অভিনব ইনফরমেশন প্রদানের জন্য আমাকে দেওয়া হলো “এডুকেশন এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড 2020” – “Award for Contribution to Student Development” তার পরের বছর অর্থাৎ 2021 সালে আমাকে পুনরায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হল এবং 2021 সালে দ্বিতীয় বারের জন্য আমি পেলাম “এডুকেশন এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড 2021” -“Award for Contribution to Education Community”। এই বছরেই অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স কাম কম্পিটিশনে আমি পেলাম “অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স 2021” অ্যাওয়ার্ড।

দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র আমার মহান দেশ ভারত নয়, ভারত ছাড়া বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আমি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। 2021 সালে অক্টোবর মাসে শিক্ষার জগতে আমার অবদানের জন্য নাইজেরিয়া দেশ ও ইন্ডিয়া উয়িং (শিক্ষা সংস্থা) যৌথভাবে আমাকে “INSPIRATIONAL EDUCATOR HONOUR -ইনস্পিরেশনাল শিক্ষাবিদ সন্মানে” সান্মানিত করেছেন।
2020 সালে (“এডুকেশন এক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড 2020” পাওয়ার জন্য) কাইটস এডুকেশন আমাকে তাদের গ্রূপের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং KITES এডুকেশন গ্রূপের অন্তর্ভুক্ত মাধ্যমে 3 বছর ধরে শিক্ষা ও বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও গবেষণা করার সুযোগ পেয়ে KITES-এর কাছে কৃতজ্ঞ। KITES-এডুকেশনের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে 500+ ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল মেন্টোর, 2000+ এডুকেটর, আলোচ্য বিষয় 400+ (Ideas) এবং 85+ দেশ।
2021 সালে “Voice of Freedom” সংস্থার আয়োজিত “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস”, “ক্ষুদিরাম বসু”-এর ওপর তথ্য প্রদান করে প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় অ্যাওয়ার্ড হিসেবে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করেছি। উক্ত সাফল্যের জন্য আমি “Voice of Freedom” ম্যাগাজিনের (ওয়েবজিন) সদস্য হতে পেরে আমি অভিভূত। চলছে ম্যাগাজিনের জন্য নিয়মিত লেখা।
যাইহোক, একটি আফসোস: কোভিড 19 (করোনা ভাইরাস) -এর কারণে, আমি দিল্লিতে (2 বার), পাঞ্জাব, মুম্বাই এবং গোয়াতে অনুষ্ঠিত মঞ্চে সরাসরি পুরস্কার নিতে পারলাম না।

*** সেবামূলক বা নিস্বার্থভাবে কাজ
সেবামূলক বা নিস্বার্থভাবে কাজ করে সেটা সকলকে জানানো আমার মানবতাকে আঘাত করে, তবুও এখানে আমি কিছুটা তুলে ধরছি অনেকেরই জানার ইচ্ছা আছে সেই কারণে তাই এখানে সেবামূলক বা নিস্বার্থভাবে কাজ তুলে ধরার জন্য আমি আগে থেকে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
K.I.T.E.S.Education-এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার ওপর বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে আসছি সেবামূলক কাজ হিসাবে। আমাদের দেওয়া তথ্য বিভিন্ন শিক্ষা সংস্থা গ্রহণ করে বিভিন্ন দেশের যারা আর্থিক কারণে শিক্ষা গ্রহনে পিছিয়ে তাদের ফ্রি এডুকেশন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠন বিভিন্ন স্পনসর-এর আর্থিক সহাযতায় বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন। এক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য না নেওয়ার জন্য K.I.T.E.S. Education কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিনা পারিশ্রমিকে নিস্বার্থভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে আমি আমার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে আসছি। ভারত সহ বিভিন্ন দেশ ও আমাদের রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে প্রতিনিয়ত অনলাইন (ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, ফোন কল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনেক অনেক সমস্যা মিটিয়ে চলেছি। আমার ওয়েবসাইট (www.englishcentre.page4.me) 05.01.2022 পর্যন্ত সারা পৃথিবী জুড়ে “দু লক্ষ আটত্রিশ হাজার একশত ছাব্বিশ (2,38,126)” জন ভিজিট করেছেন ও অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং প্রচুর প্রচুর তথ্য প্রদান করছি ফোন কলের মাধ্যমে।
সারা বিশ্বে অনেক শিক্ষার্থী আমার ফেসবুক পেজ "Ask Question on English Grammar” থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং যখনই তাদের প্রয়োজন হয় তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেন।

***** ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল স্তরে আমার অবদান
2021 সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন কনফারেন্স অংশগ্রহণ করার এবং শিক্ষার ওপর নিজস্ব মতামত জানানোর সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং সেখানে এক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আমি কিছু পুরস্কার ও কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করলাম। তারপরে Google-এর পক্ষ থেকে শিক্ষকদের ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেই ট্রেনিং আমি কমপ্লিট করলাম (পেলাম ট্রেনিং কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ফ্রম Google) এবং কিছুদিন পরে মাইক্রোসফট কোম্পানি থেকে শিক্ষকদের ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেই ট্রেনিংও আমি কমপ্লিট করলাম (পেলাম ট্রেনিং কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ফ্রম Microsoft)। 202O সালে ইংলিশ গ্রামারের ওপর বিভিন্ন ইনোভেটিভ তথ্য দেওয়ার জন্য ZIIEI (Sri Arobindu Society, associated with HDFC Bank) পক্ষ থেকে আমাকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
ইংলিশ টিচিং-এর ওপর তথ্য প্রদানের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিশিষ্ট 7 জনকে শিক্ষাবিদদের – (গ্রিসের Dr. Rania Lampou, পেরুর Prof. Ruben Gracia, ইউনাইটেড কিংডমের Prof. Queen Elizabeth Lucas, কানাডার Edward Probir Mondal, মেসিডোনিয়ার Sc. Prof. Dr. Dragan Jovanov, ক্রোশিয়ার Prof. Nada Ratkovic, ভারতের Educator Sonatan Ghosh) সঙ্গে বিশেষ পুরস্কার “KITES WISDOM AWARD” সহ “YUVA INNOVATIVE EDUCATOR AWARD” প্রদান করে আমাকেও সম্মানিত করেছেন K.I.T.E.S. Education, 2021 সালের 20 শে নভেম্বর।
তবে একটা আক্ষেপ থেকেই গেল : Covid19(করোনা)-এর কারণে দিল্লি (২ বার), পাঞ্জাব, মুম্বাই ও গোয়াতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অ্যাওয়ার্ড গুলি সরাসরি গ্রহণ করতে পারলাম না।

***** আমার কিছু পদক্ষেপ
আঁইশমালী ও আশেপাশের গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নতির স্বার্থে আমি আরও 5 জনের সঙ্গে 2002 সালে প্রতিষ্ঠা করি “ইউনিক কোচিং সেন্টার”। উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় শিক্ষার প্রসার। প্রথম কয়েক বছর আমরা সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও পরে সেই উদ্দেশ্য থেকে কয়েক জন টিউটর বিচ্যুত হয় এবং অর্থ আয় করার প্রতি লোভী হয়ে ওঠে। আমার আদর্শ নষ্ট হবে সেই কারণে আমি প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করি 2015 সালে। তারপর 2016 আমি পাঁচ জন নতুন টিউটরদের নিয়ে শিক্ষার উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করি “স্বামীজী মিশন”। সকল ছাত্র-ছাত্রী মিশনে ভর্তি হয়। সেই বছরেই (2016) গার্জেনরা ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি না করায় বন্ধ হয়ে যায় “ইউনিক কোচিং সেন্টার”।
আমাকে, জয়নাল আবেদীন মন্ডল, তাপস সাধুখাঁ এবং আমার দাদা সুকুমার ঘোষকে ভরসা করে “স্বামীজী মিশন”-এ গার্জেনরা ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করেন। শুরু হয় স্বামীজী মিশনের পথ চলা। ৪ বছর পরে সময়ের অভাবে তাপস সাধুখাঁ আর মিশনে সময় দিতে পারলো না - তাপস সাধুখাঁকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রচুর টিউশনের চাপ ও সময়ের অভাবে একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক, জয়নাল আবেদীন মন্ডল মিশনে আর সময় দিতে পারলো না। স্বামীজী মিশনের সাফল্যের জন্য জয়নালকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এর মধ্যে মিশন প্রিতিষ্ঠার দু-বছরের ভিতর মিশনের দু-জন টিউটর শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করার চেষ্টা করলে, তাদেরকে মিশন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং নতুন টিউটর নিয়োগ করা হয়েছিল। যাইহোক, বর্তমানে 5 জন টিউটর (আমি, আমার দাদা সুকুমার ঘোষ, তহিবুল মণ্ডল, সুমন ঘোষ ও পাপন সিকদার) যথাযত দায়িত্ব পালন করছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা এগিয়ে চলছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের মান উন্নয়নের জন্য, তাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য, পরীক্ষার আগে তাদের কে কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে, কিভাবে ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিজেদেরকে মূল্যায়ন করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে আমি, সমির দত্ত (দাদা), প্রবীর রায় ও জয়নাল আবেদীন মন্ডল যৌথভাবে 2017 সালে সংগঠিত করি “সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা”। তিন বছরে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে আমরা অনুপ্রাণিত করতে সফল হয় কিন্তু করোনা (COVID 19)-এর কারণে দুই বছর (2020 ও 2021) পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হয়েছে, 2022 সালে “সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা” আবার সমহিমায় ফিরবে আমরা সবাই আশাবাদী। ক্লাস VI to XII নিয়ে চলছে “সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা ফর সিনিয়র” এবং খুব শীঘ্রই ক্লাস ওয়ান to ফাইভ নিয়ে “সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা ফর জুনিয়র” শুরু করার পরিকল্পনা চলছে।

***** আমার নতুন পদক্ষেপ
দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছাকে মূল্য দিয়ে ইংলিশ সেন্টারে স্পোকেন ইংলিশ, কম্পিটিটিভ পরীক্ষা, ডিগ্রি লেভেলে (B.A., B.Sc., B.Com English – LCC- Compulsory English)-এর জন্য ও ইংলিশ মিডিয়াম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করি। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এবছর (2021) থেকে উক্ত বিষয় গুলোর জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। আগে ক্লাস নিলেও, সময়ের সমস্যার জন্য কিছুদিন বন্ধ ছিল তাই অনেক ভেবে চিন্তে, ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে সপ্তাহে 1 দিন করে ক্লাস নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।

***** ইংলিশ সেন্টার বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে
সকলের ভালবাসা ও আশির্বাদে ইংলিশ সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। আমি 05.01.2022 পর্যন্ত ৮৮ টি গ্রাম, 29 টি স্কুল থেকে 10,763 এরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ানোর সুযোগ পেলাম এবং “ইংলিশ সেন্টার” থেকে অজস্র ভাল ছাত্র-ছাত্রীর ভালো রেজাল্ট করে আজ প্রতিষ্ঠিত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তারা চাকরিরত। অনেকেই রয়েছে যারা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, অনেকেই আছে যারা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত রয়েছে, শিক্ষক হয়েছে, প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে, বিভিন্ন অফিসে কর্মরত রয়েছে, অনেকে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছে আমি তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি এবং তারা যে একদিন ইংলিশ সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী ছিল তাতে আমি গর্বিত। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে আমি সমান ভালবাসি, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে আমি সারাজীবন মনে রাখবো
“I promise I will remember all of you forever.”
“English is my heart,
Students are my heartbeats,
Teaching English is my dream,
Learning English is my aim.”

***** ইংলিশ সেন্টার শীর্ষে পৌঁছানোর কারণ
ইংলিশ সেন্টার আজ শীর্ষে পৌঁছানোর একমাত্র কারণ আমার ওল্ড স্টুডেনদের সাফল্য, ইংলিশ সেন্টারের ওপর তাদের বিশ্বাস ও ভরসা, ইংলিশ সেন্টারকে আপন করে নেওয়া হলো অন্যতম কারণ। আমি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি মাত্র আমার স্টুডেনদের জন্য আজ ইংলিশ সেন্টার এই জায়গায় পৌঁছেছে। শুধুমাত্র ভালো রেজাল্ট না, তারা যে এই সেন্টার থেকে ইংলিশ শিখতে পেরেছে তার জন্য আজ এই সেন্টার সবার শীর্ষে। বর্তমান যারা এই সেন্টারে পড়াশোনা করছে তাদের ভূমিকাও ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব তারা সেন্টারের নামও চারিদিকে ছড়িয়ে চলছে। তারা ইংলিশ শিখতে পারছে যা তারা সর্বত্র স্বীকার করছে, যার ফলে সেন্টারের নাম আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ইংলিশ সেন্টারের এই সাফল্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে আমার ওল্ড স্টুডেন্টস ও বর্তমান স্টুডেন্টসদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে যারা পড়তে আসবে তাদের জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

** ইংলিশ সেন্টারের সাফল্যের কারণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট
প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত পড়ানোর সময় আমার কোন প্রকার বইয়ের প্রয়োজন হয়নি, বই ছাড়া নিজের মন থেকে পড়িয়ে আসছি এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যা প্রশ্ন করেছে বা করে আমার যেটুকু জ্ঞান আছে তাই দিয়ে তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকি। আমি মনে করি শিক্ষক যখন বই ছাড়া পড়ান তখন ছাত্রছাত্রীরা বেশি আগ্রহী হয়, মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং যার ফলে তারা শিখতে সক্ষম হয়।
ইংলিশ সেন্টারে ওল্ড স্টুডেন্টসরা ইংলিশ শিখেছে এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা ইংলিশ শিখছে আনন্দের সঙ্গে। ইংলিশ সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এই কারণে কারণ আমি ইংলিশ সেন্টারে ইংরেজি একদম খুঁটিয়ে করায় কোন জিনিস বাদ দেয়ার চেষ্টা করি না এবং এইগুলি তাদের পরবর্তীকালে খুব প্রয়োজন হয়।
মুখস্ত বিদ্যায় আমি বিশ্বাসী নই, তাই ছাত্রছাত্রীকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করি এবং বারংবার বোঝানোর পর তারা ইংরেজি গ্রামার, রাইটিং নিজে থেকেই শিখে যায় যার জন্য তাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়।
বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী ইংলিশ সেন্টারে কিছুদিন পড়াশোনা করার পর সেন্টার ছেড়ে চলে গেছে বা চলে যায় শুধুমাত্র পড়ার ভয়ে অর্থাৎ পড়াশোনা করলে তবেই ইংলিশ সেন্টারে পড়তে আসা যায়। সঠিকভাবে পড়াশোনা না করলে আমি কোন প্রকার ছাড় দিইনা।এটাই ইংলিশ সেন্টারের বিশেষ বৈশিষ্ট। সেন্টার ছেড়ে চলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা যদি তাদের বন্ধুবান্ধব যারা আমার এই সেন্টারে পড়ছে তাদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখবে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছ, ইংরেজি শেখার বিষয়ে তাদের ধারে কাছে তারা আসতে পারবে না। পরবর্তীকালে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা সব সময় এগিয়ে ছিল, এগিয়ে থাকবে।

***** অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা আমাদের সন্তানকে সাফল্যের চরমসীমায় দেখতে চাই কিন্তু এ বিষয়ে আমার খারাপ লাগে এই ভেবে যে, আগে দেখতাম মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত অধিকাংশ অভিভাবকরা যথেষ্ট সচেতন ছিলেন এবং ছাত্রছাত্রীরা কেমন পড়াশোনা করছে খোঁজ খবর নিতেন কিন্তু কয়েক বছর ধরে দেখছি ক্লাস সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধিকাংশ অভিভাবকরা সচেতন রয়েছেন এবং ছাত্রছাত্রীরা কেমন পঠন-পাঠন করছে খোঁজ খবর রাখছেন কিন্তু নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত তেমন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না।
এরফলে ছাত্র-ছাত্রী যখনই নবম শ্রেণীতে উঠছে তখনই তারা কিন্তু বিপথে চলে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের পঠন-পাঠন একদম শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা একটু সচেতন হবেন তাহলে অন্তত শিক্ষার একটা পরিবেশ সুন্দর তৈরি হবে এবং সেইসঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীও সচেতন হবে আপনাদের সচেতনতার উপর নির্ভর করবে আপনার সন্তানদের ভবিষ্যত। তাই আপনারা অবশ্যই সচেতন হবেন এবং আপনারা কখনোই পড়াশোনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ছেড়ে দেবেন না।

***** আমার লক্ষ্য
1) ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করা যাতে তারা উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে এবং চরিত্র ভালো করতে পারে। আমি শেখাচ্ছি কিভাবে বড়, ছোট, সহপাঠীদের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করতে হয়। আমি নিশ্চিত যে আমার শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করবে এবং তাদের অভিভাবকদের খুশি এবং গর্বিত করতে হবে।
2) একটি শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করা যা একাডেমিক সাফল্য, উচ্চ নৈতিক মান, স্ব-শৃঙ্খলা এবং সংস্কৃতির প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মতামত এবং অন্যদের মূল্যবোধকে মূল্যায়ন করে।
3) আমার লক্ষ্য প্রতিটি সন্তানের সার্বিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করা: আধ্যাত্মিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, মানসিক এবং শারীরিক।
4) একটি শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করা যাতে সকল শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত হয় এবং যেখানে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে যে ভুল করা শেখার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
5) শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী, সফল, স্বাধীন শিক্ষার্থী হতে সক্ষম করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা
6) একটি কঠোর পাঠ্যক্রম প্রদান করা যা সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বিকাশ করে, প্রতিটি ছাত্রকে তাদের সেরা হতে চেষ্টা করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে।
7) আমার লক্ষ্য হল একটি নিরাপদ, আরামদায়ক শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করা যেখানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ, খুশি এবং যত্নশীল বোধ করে।

***** ইংলিশ সেন্টারে গত 5 বছরের রেজাল্ট
সাল 2016 লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 6 জন, 75/ 75+ 11 জন, 70/ 70+ 47 জন, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2017 হায়েস্ট মার্কস্ 90 (2 জন), লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 11 জন, 75/ 75+ 13 জন, 70/ 70+ 29 জন, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2018 হায়েস্ট মার্কস্ 90, লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 3 জন, 75/ 75+ 9 জন, 70/ 70+ 23 জন, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2019 হায়েস্ট মার্কস্ 92 (2 জন), লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 10 জন, 75/ 75+ 2 জন, 70/ 70+ 41 জন, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2020 হায়েস্ট মার্কস্ 93 & 91, লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 20 জন, 75/ 75+ 2 জন, 70/ 70+ 59 জন, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2021 কোবিড 19 (কোরোনা ভাইরাস)-এর জন্য পরীক্ষা হয়নি

সাল 2022 হায়েস্ট মার্কস্ 85 & 96, লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 33 জন, 75/ 75, 60/ 60+ অগুনিত

সাল 2023 হায়েস্ট মার্কস্ 85 & 97, লেটার মার্কস্ (৮০/ ৮০+) 9 জন, 75/ 75, 60/ 60+ অগুনিত

***** ছাত্র-ছাত্রী তোমরা অভিমান করোনা
আজ এই লেখার সময় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মনে পড়ছে, তোমাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার, পড়া-ধারা, ব্ল্যাক-বোর্ডে বোঝানোর কথা, নিচে বসে আলাদা আলাদা করে বোঝানোর কথা, মনে পড়ছে ফেয়ারওয়েল সেই দিনের কথা, ভালোবাসা-শাসনের কথা, আজ মনে পড়ছে সব কথা। তোমাদের সবার মূল্য আমার কাছে সমান। এই লেখায় তোমাদের সকলের নাম উল্লেখ করছি না, তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা ইংলিশ সেন্টারে সবদিক থেকে ভালো রেজাল্ট করেছে, কয়েকজনের নাম হয়তো আমি উল্লেখ করবো যাদের নাম আমি উল্লেখ করছিনা, তারা কখনোই ভেবোনা যে আমি তোমাদেরকে ভালোবাসি না, নাম যাদের উল্লেখ করছি তাদেরকে ভালবাসি, যাদের নাম উল্লেখ করতে পারছি না তাদের সবাইকে সমান ভালোবাসি। তাই কেউ কিছু মনে করবে না, তোমরা অভিমান করোনা। Love you all.

***** সোশ্যাল মিডিয়া ও অনুপ্রেরণা
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া (যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ) একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।এরকম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে আমার অনেক ওল্ড ছাত্র-ছাত্রী রা আমার করা বিভিন্ন পোস্টে লাইক ও কমেন্টস আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাদের কমেন্ট এবং তাদের লাইক দেখে আমি অভিভূত হই যে তারা আমাকে এখনো মনে রেখেছে এবং আগের মত একই রকম ভালবাসে এবং তোমরা যেভাবে আমাকে কমেন্ট করে আমাকে অনুপ্রেরণা দাও, ভালোবাসা প্রকাশ করো সেই জন্য তোমাদের কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তোমাদেরকে অনেক ধন্যবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য এবং তোমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য। “অল স্টুডেন্টস অফ ইংলিশ সেন্টার” বলে যে একটা গ্রুপ রয়েছে তাতে যে সমস্ত আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী তোমরা রয়েছে তারা যেভাবে আমাকে অনুপ্রাণিত করছো এবং এই 25 বছর পূর্তি সম্পর্কে তোমরা যে মন্তব্য ও পরিকল্পনা করছো এবং পুনর্মিলন নিয়ে ভাবছো তাতে আমি সত্যিই অভিভূত। তোমাদের প্রতি আমার ভালোবাসা আমার অনুভূতি এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে তাই 25 বছর পূর্তি হচ্ছে সেটা একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করার প্রচেষ্টা চলছে তোমরা যদি সঙ্গে থাকো তাহলে এ বছরের শেষের দিকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠান করব।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধমে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, শিক্ষানুরাগী, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমার করা বিভিন্ন পোস্টে লাইক ও কমেন্টস করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আমি আপনাদের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।

***** শিক্ষার জগতে আমার ওভারঅল পদক্ষেপ
১ম পদক্ষেপ
আমি 1998 সালের 5 জানুয়ারি “ইংলিশ সেন্টার” স্থাপন করি, যাতে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজি শিখতে পারে এবং ইংরেজিতে ভালো ফলাফল করতে পারে।
২য় পদক্ষেপ
ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার শেখার উন্নতির স্বার্থে, আমি (যৌথভাবে) 2002 সালে " ইউনিক কোচিং সেন্টার" প্রতিষ্ঠা করেছিলাম এবং অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করতে সফল হয়েছিলাম।
৩য় পদক্ষেপ
2016 সালে, আমি (যৌথভাবে) শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে "স্বামীজি মিশন" প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আমি অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করতে সফল হয়েছি।
৪ র্থ পদক্ষেপ
শিক্ষার্থীদের পড়ার মান উন্নত করার উদ্দেশ্যে, তাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য, পরীক্ষার আগে কিভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হয়, কিভাবে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে নিজেদের মূল্যায়ন করতে হয় আমি (যৌথভাবে) 2017 সালে "সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ এক্সাম" আয়োজন করেছি এবং আমি অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করতে সফল হয়েছি। 2017 সালে থেকে আমি "সৃষ্টি ট্যালেন্ট সার্চ এক্সাম" এক্সাম কন্ট্রোলার হিসাবে
দায়িত্ব পালন করছি।
৫ ম পদক্ষেপ
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমি 'স্পোকেন ইংলিশ' -এর জন্য বিশেষ ক্লাস,' প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার 'জন্য বিশেষ ক্লাস এবং' ইংলিশ মিডিয়াম স্টুডেন্টস' -দের জন্য আমার ইংলিশ সেন্টারে বিশেষ ক্লাস চালু করেছি।
৬ষ্ঠ পদক্ষেপ
আমার লেখা বই
শিক্ষার্থীদের সহজে ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করার স্বপ্ন দেখে, আমি ইংরেজি ব্যাকরণ ও রচনা (লেখার দক্ষতা) বিষয়ে ছয়টি বই লিখেছি।
আমার লেখা বইগুলি –
ফাদার অব টেন্সে এন্ড সেন্টেন্স, অটোমেটিক সাক্সেস অন পোয়েমস, স্টেপ টু ইংলিশ, ওয়ে টু ইংলিশ এবং ইংলিশ গ্রামার ইনোভেশন।
৭ ম পদক্ষেপ
অতিথি শিক্ষক হিসাবে আমি 17 ই আগস্ট 2018 সালে সরিষাডাঙ্গা ড: শ্যামাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে (H.S.) অতিথি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উন্নতি করার স্বার্থে।

***** এ পর্যন্ত যাদের সংবর্ধনা দিতে পেরেছি
হাফিজা খাতুন, কৌশিক সরকার, পারিজাত বিশ্বাস, পিঙ্কি সিকদার, সৃজা মজুমদার, সুস্মিতা মন্ডল, অর্ণব ঘোষ, রাহুল মণ্ডল, অমিত কর, মাসুদ মন্ডল, সনাতন মন্ডল, সমেশ বিশ্বাস, মৃন্ময় দত্ত, অনন্ত শিকদার, অন্তরা শিকদার, সীমা বিশ্বাস, প্রিয়াঙ্কা নন্দী, মাফুজা রহমান, উজ্জলা ভদ্র, মামনি রায়, তনয় সরকার, সুবর্ণা রায়, তারক রায়, সুমন বিশ্বাস, উছাইমা খাতুন, শুভ্রনীল মল্লিক, সোমা সিকদার, অভিজিৎ বসু, নীলমনি সাধুখাঁ, রাকেশ বিস্বাস, মলয় বিশ্বাস, পারমিতা দাস, সঞ্চারী মন্ডল, পিয়ালী বিশ্বাস, সংগীতা মৃধা, দেবাশীষ কর্মকার, অয়ন্তিকা বিস্বাস, তারক পাল

***** আগামীতে যাদের সংবর্ধনা দিতে চলেছি
নাসিমা খাতুন, জাহিদ শেখ, মৃন্ময় দত্ত, চয়ন বিশ্বাস, রত্না বিশ্বাস, স্বর্ণা বিশ্বাস, নিপা শিকদার, প্রবীর মিত্র, সৌরভ মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডল, সত্যজিৎ বিশ্বাস, মৌমিতা রায়, প্রত্যুস বিস্বাস, জিসান আহমেদ, ইমদাদুল্লা বিস্বাস, মিলন মণ্ডল, দীপায়ন বিস্বাস, নন্দলাল দেবনাথ, জয় রায়, ইব্রাহিম মণ্ডল, কৌস্তভ মন্ডল, শাবনাজ মন্ডল, সোহম ঘোষ, দিবাকর মজুমদার, তাবিব বিস্বাস, পিল্টু ঢালী, মৌমিতা রায়, ভাস্কর বিস্বাস, দীপা বিস্বাস, অরিত্র বাগচী, সম্পদ প্রামানিক, নয়ন বিস্বাস, সুলাতা মৃধা, প্রিয়াঙ্কা মিত্র

***৮৮ টি গ্রাম থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ইংলিশ সেন্টারে আগমন
দীর্ঘ এই চলার পথে 10,763 জন ছাত্র-ছাত্রী আশে পাশের ৮৮ গ্রাম থেকে ইংলিশ সেন্টারে পড়তে এসেছে।
বিভিন্ন সালে তারা ইংলিশ সেন্টারে এসেছে। নিচে তাদের আগমনের সাল ও গ্রামের নাম উল্লেখ করলাম :-

1998 সালে আঁইশমালী, রাখালগাছি ও পাঁচপোতা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসত, পরের বছর অর্থাৎ 1999 সাল থেকে অন্যান্য গ্রাম থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।

 1999 সালে থেকে 2000 সাল পর্যন্ত সাবাইপুর, পুটখালী, খাসপুর, বাদবাকি, বালিয়াডাঙ্গা, এরুলি, চিনাপুকুরিয়া, সরিষাডাঙ্গা, আন্দোলপোতা, মালিপোতা, নাটাবেড়িয়া, গাদপুপুকুরিয়া, পাঁচবেড়িয়া, পদ্মবিল, নিমিঝিমি, দেবগ্রাম, চকদেবগ্রাম, মোল্লাবেরিয়া, বিলধারপাড়া থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2001 সালে গাংনাপুর, অনন্তপুর, বাঘাডাঙ্গা, রায়নগর, উজিরপুকুরিয়া, সুরেরখাল, বনগাঁ, দুবলী, সিরিশনগর, সনাতনপুর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2002 রানাঘাট, শান্তিপুর, বিষ্ণুপুর, মন্ডলপুকুরিয়া, হরিশপুর, শ্রীধরপুর ঘোলা, পূর্ণনগর, চিন্তাপুর, বাজিতপুর, পন্ডে পাড়া, পূর্বনগর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2003 সাল কামালপুর, কৃষ্ণনগর, নওপাড়া, আরংঘাটা, চকদেবগ্রাম, আন্দুলপোতা, পানিখালি, কামারগেড়িয়া, হুমানিয়াপোতা, 62 কলোনি, ধানতলা, মাঝেরগ্রাম, গোপালনগর, মিঠাপুর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2004 লক্ষ্মীপুর, মধুরগাছি, মেঠোপাড়া, মাটিকুমড়া, খড়েরমাঠ, মামুদপুর, নিত্যানন্দপুর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2005 সিন্দ্রানি, গোয়ালবাগি, সব্দলপুর, সুঠরা, নোকারি, কুজারবাগী আদিত্যপুর, জগন্নাথপুর, আকাইপুর, শংকরপুর, চন্ডীতলা, অম্বিকাপুর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2006 অম্বরপুর, চুয়াডাঙ্গা, গোপিনগর, সহিষপুর, কোরাবাড়ি, দত্তপুলিয়া, বস্তা, দৌল, হুদা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।
 2019 সারদাপল্লি, খুশবেড়িয়া, সুভাষপল্লি থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসা শুরু করে।

** 29 টি স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ইংলিশ সেন্টারে আগমন
দীর্ঘ এই চলার পথে 10,763 জন ছাত্র-ছাত্রী আশে পাশের 29 টি স্কুল থেকে ইংলিশ সেন্টারে পড়তে এসেছে। নিচে স্কুলের নাম গুলি উল্লেখ করলাম-
আঁইশমালী ইউনিটেড একাডেমি হাই স্কুল (H.S.)
সরিষাডাঙ্গা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ হাই স্কুল (H.S.)
কৃষ্ণগর ডি. সি. হাই স্কুল (H.S.)
গাংনাপুর বয়েজ হাই স্কুল (H.S.)
গাংনাপুর গার্লস হাই স্কুল (H.S.)
দেবগ্রাম নেতাজী বিদ্যালয় (H.S.)
ঘোলা হাই স্কুল (H.S.)
বাজিতপুর হাই স্কুল (H.S.)
উজিরপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
সিন্দ্রানী সাবিত্রী হাই স্কুল (H.S.)
রানাঘাট লালগোপাল হাই স্কুল (H.S.)
রানাঘাট পালচৌধুরী হাই স্কুল (H.S.)
রানাঘাট ইউসুব হাই স্কুল (H.S.)
রানাঘাট ব্রজবালা গার্লস হাই স্কুল (H.S.)
বিষ্ণুপুর হাই স্কুল (H.S.)
বিষ্ণুপুর গার্লস হাই স্কুল (H.S.)
ধানতলা হাই স্কুল (H.S.)
পূর্ণনগর পি.সি. হাই স্কুল (H.S.)
আদিত্যপুর হাই স্কুল
হুমানিয়াপোতা আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়
অম্বিকাপুর এ.এইচ. হাই স্কুল
গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশন
বরনবেরিয়া কে. এস. বিদ্যালয়
দত্তপুলিয়া ইউনিয়ন একাডেমী
গৌরীশাইল গৌরীপুর আনন্দ বিদ্যাপীঠ
মাঝেরগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়
আকাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়
আড়ংঘাটা ইউ.এম. ইনস্টিটিউশন
আড়ংঘাটা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়

***** আমি মর্মাহত
আমার এই দীর্ঘ টিউশন লাইফে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী পারিবারিক অশান্তির বা অন্য কোন কারণে জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছে। এছাড়া দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছে। তাদেরকে হারিয়ে আমি সত্যিই মর্মাহত। তারা যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক। Rest in peace. ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ভবিষ্যতে এমন ঘটনার সাক্ষী আমাকে যেন আর না হতে হয়।

***** ছাত্র-ছাত্রী ও সকলের উদ্দেশ্যে আমার বার্তা
“English is my heart,
Students are my heartbeats.
Teaching English is my dream,
Learning English is my aim.”

1. "Success is like a flowing river, even if it is blocked by a dam, one day it will flood with the tide of extreme success.
(“সাফল্য প্রবাহমান নদীর মতো, বাঁধ দিয়ে বাধা দিলেও একদিন প্লাবিত করবে চরম সাফল্যের জোয়ারে দিয়ে।”)
2. “If you dream, you possess the competence to fulfil it as you dream having the pertinence.”
(“স্বপ্ন দেখলে ভাববে, স্বপ্ন পূরণের যোগ্যতা তোমার আছে কারণ তোমার যোগ্যতা আছে বলেই তুমি স্বপ্ন দেখ।”)
3. “The sea is the success, the river is the path of effort, no matter how inaccessible the river will be in the sea.”
(“সমুদ্র হলো সাফল্য, নদী হলো চেষ্টা পথ যতই দুর্গম হোক নদী সমুদ্রে মিশবেই।”)
4. “If you don't fail or get frustrated, how you will understand you tried, By trying you have already overcome the failure, the first step to success. Now there is only success waiting for you.”
(“তুমি ব্যর্থ বা হতাশ না হলে বুঝবে কি করে যে তুমি চেষ্টা করেছিলে। চেষ্টা করেই সাফল্যের প্রথম ধাপ ব্যর্থতা কে তুমি জয় করেছ। সামনে এখন শুধুই সাফল্য যা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”)
5. “One of the reasons for failure is not to try for the fear of being failure. Trying boosts confidence and confidence is never defeated.”
(“ব্যর্থ হবে ভেবে চেষ্টা না করা, ব্যার্থতার অন্যতম কারণ! চেস্টা আত্মবিস্বাসকে বাড়িয়ে দেয় আর আত্মবিশ্বাস কখনও পরাজিত হয়না।”)
6. "If you stand on the shore of the sea, water is everywhere, if you stand in front of the mountain, the mountain is everywhere, if you think of success, success will be seen everywhere. Life depends on standing in the right place and thinking right. If the opposite happens, the whole world will be surprised.
“সাগর পাড়ে দাঁড়ালে সর্বত্র জল, পাহাড়ের সামনে দাঁড়ালে সর্বত্র পাহাড়, সাফল্যের কথা ভাবলে, সর্বত্র সাফল্য চোখে পড়বে। সঠিক সঠিক স্থানে দাঁড়ানো ও সঠিক ভাবনার ওপর জীবন নির্ভর করে। বিপরীতটা ঘটলে সবাক পৃথিবীতে অবাক হবে।)
7. “You have the strength of mind, you have dreams in eyes, you will be successful because even if you know how to make dreams come true with the strength of mind, dreams can be realized. So it is only a matter of time before you can fulfill your dream by perforating the reality covered by the hard screen.”
(“তোমার মনের জোর আছে, দু চোখে স্বপ্ন আছে, তুমি তো সফল হবেই কারণ মনের জোর দিয়ে বাস্তবে স্বপ্নে আনা জানা গেলেও স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা যায়। তাই কঠিন পর্দা দ্বারা আবৃত বাস্তবতাকে ভেদ করে স্বপ্ন পূরণ করা তোমার কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা।”)
8. “There is a teacher in everyone's life. First the education guru is the parent then the teacher of the educational institution. If you deny the contribution of the teacher on life, if you feel ashamed of respecting the teacher, even if you reach the top of life, even if you earn money, It is better to think of yourself as an inhuman object.”
(“প্রত্যেকের জীবনে শিক্ষাগুরু আছেন। প্রথম শিক্ষা গুরু পিতা মাতা তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। জীবনের শিক্ষাগুরুর অবদান অস্বীকার করলে, শিক্ষাগুরু কে সম্মান দিতে লজ্জা বোধ করলে, জীবনের শীর্ষস্থানে পৌঁছালেও, অর্থ উপার্জন করলেও নিজেকে মনুষত্বহীন একজন জড় পদার্থ ভাবাই শ্রেয়।”)
9. “Do you feel incompetent as your name is not on the panel? Hey, whatever talent you have, you don't deserve this job, something bigger is waiting for you. So leave this and go ahead. When you reach the station, you will get the train.”
(“প্যানেলে নাম নেই নিজেকে অযোগ্য ভাবছো? আরে তোমার যা ট্যালেন্ট আছে এই চাকরি তোমার যোগ্য নয় আরও বড় কিছু তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই এসব ছাড়ো আর সামনে এগিয়ে চলো স্টেশনে যখন পৌছে গেছো, ট্রেন তুমি পাবেই।”)
10. “Two steps in life: transcendence and exception. If you want to overcome, you have to have a specific goal and if there is to be an exception, that goal must be exceeded.”
(“জীবনের দুটি পদক্ষেপ : অতিক্রম্ ও ব্যতিক্রম। অতিক্রম করতে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্য রাখতে হবে আর ব্যতিক্রম হতে গেলে সেই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে।”)
11. “Life is a black and white portrait. Life will become colorful in the same way that pastels called hard work and devotion will colour itself.”
(“জীবনটা সাদাকালো ছবির নকশা। পরিশ্রম ও নিষ্ঠা নামক রংতুলি নিজের কাছে যেভাবে রং করবে সেভাবেই জীবন রঙিন হয়ে উঠবে।”)
12. “Doing one's job properly and doing one's duty properly will bring peace of mind and this criticism will be made by those who are deprived of this peace of mind.”
(“নিজের কাজ সঠিকভাবে করলে আর নিজের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করলে মানসিক শান্তি পাবে আর এই সমালোচনা তারাই করবে যারা এই মানসিক শান্তি থেকে বঞ্চিত।”)
13. “Reality may not appear in dream, but dream appears in reality. So dream and follow it. Success must you be.”
(“স্বপ্নে বাস্তবকে দেখা না গেলেও বাস্তবের স্বপ্ন দেখা যায় তাই শুধু স্বপ্নই দেখতে হবে আর স্বপ্নকেই অনুসরন করতে হবে সাফল্য আসবেই।”)
14. “Teachers will bind the students by rules and students will be bound by roles, then it will start developing the right education and then students will be illuminated in the light of a teacher like the sun and one who cannot be bound by this bondage will remain in darkness.”
(“শিক্ষক শিক্ষার্থীকে নিয়মে বাঁধবে আর শিক্ষার্থীর নিয়মে আবদ্ধ হবে তাহলে সঠিক শিক্ষার বিকাশ এবং তখনই শিক্ষার্থী সূর্যের আলোয় আলোকিত হবে আর যে এই বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না সে অন্ধকারে থেকে যাবে।”)
15. “The best writer and reader is God who is the author and reader of the book Destiny. The whole being and the world is nothing but the pages of that book.”
(“সর্ব শ্রেষ্ঠ লেখক ও পাঠক হলে ঈশ্বর যিনি ভাগ্য নামক বইটির লেখক ও পাঠক সমগ্র জীব ও জগৎ ওই বইয়ের পৃষ্ঠা ছাড়া আর কিছুই না।”)
16. "The teacher-student relationship should be like the Sun and planet. Students will move round the teacher but in this way they can't leave and come closer. Then the relationship will be strong."
(“শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হতে হবে সূর্য গ্রহের মতো। শিক্ষক কে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রদক্ষিণ করবে কিন্তু না ছেড়ে চলে যেতে পারবে না একদম কাছে আসতে পারবে তাহলে সম্পর্ক ঠিক থাকবে।”)
17. “If the teacher does not consider the students as his own children, does not consider their dreams as his own dreams, then their improvement is never possible. Fulfilling their dreams means fulfilling their own dreams. It is an unparalleled feeling.”
(“শিক্ষক যদি ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের সন্তান মনে না করেন, তাদের স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন মনে না করেন, তাহলে তাদের উন্নতি কখনো সম্ভব নয়। তাদের স্বপ্ন পূরণ হওয়া মানে নিজের স্বপ্ন পূরণ হওয়া।এ এক অনন্য অনুভূতি।”)
18. “The student is the book, the teacher is the reader. The spread of real learning develops through the proper evaluation of this book.”
(“শিক্ষার্থী হল বই, শিক্ষক হলেন পাঠক।এই বইটির সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষার বিস্তার বিকাশ ঘটে।”)
19. “Profession is a deadly addiction. Those who are addicted to profession will have tenuity in their work and to those a profession is only a profession, they have an addiction to opacity.”
(“মারাত্মক নেশা হলো পেশা। পেশা যাদের নেশা, তাদের কাজে স্বচ্ছতা থাকবে। যাদের কাছে পেশাটা শুধুই পেশা, তাদের আছে অস্বচ্ছতার নেশা।”)
20. “It is impossible to express in words how difficult it is to teach a student. There is no peace of mind unless they are learning.”
(“ছাত্রছাত্রীকে শেখানো যে কত কষ্ট সাধ্য কাজ তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। যতক্ষণ না তারা শিখছে ততক্ষণ মানসিক শান্তি পাওয়া যায় না।”)
21. “If you are satisfied, you are successful whereas you are dissatisfied, you are failure.
(“যদি আপনি সন্তুষ্ট হন, আপনি সফল, আপনি সন্তুষ্ট নন, তাহলে আপনি অসফল।”)
22. “ Students are books, teachers are readers. They should read these books by heart in detailed.”
(“শিক্ষার্থীরা বই, শিক্ষক পাঠক। তাদের উচিত এই বইগুলো বিশদভাবে পড়া।”)
23. “Love, affectionate and admiration is such a key that only can open the lock of heart.”
(“ভালবাসা, স্নেহ এবং প্রশংসা এমন একটি চাবি যা কেবল হৃদয়ের তালা খুলতে পারে।”)
24. "My students are the pages of the book and I am its cover."
(“আমার ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের পাতা এবং আমি সেই বইয়ের প্রচ্ছদ।”)
25. “Special is one whom you can see either you close your eyes.”
(“বিশেষ একজন হলো সেই জন যাকে আপনি চোখ বন্ধ করার পর দেখতে পারেন।”)
26. “Those are proud of themselves, of whom no one is proud, so be proud of yourself only when everyone is proud of you. ”
(“নিজেকে নিয়ে নিজে গর্ব তারায় করে যাদেরকে নিয়ে কেউ গর্ব করে না তাই গর্ব কারো তখনই যখন সবাই তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে।”)
27. “Today reality is defeated by power, covered with the veil of truth and falsehood, freedom of speech has given up its last breath. It is ridiculous for us to demand independence. Revolution is to be invited, thus peace will return.”
(“বাস্তব আজ ক্ষমতার কাছে পরাজিত, সত্য-মিথ্যার চাদরে আচ্ছাদিত, বাকস্বাধীনতা তো কবেই ত্যাগ করেছে শেষ নিঃশ্বাস। আমরা স্বাধীন দাবী করাটাই উপহাস। চাই বিপ্লব কান্তি তাহলে ফিরবে শান্তি।”)
28. “Success does not come in one day, failure does not come back again and again. The only solution is effort and patience.”
(“সাফল্য একদিনে আসেনা আবার ব্যর্থতাও বারে বারে ফিরে আসে না। সমাধানের একমাত্র পথ চেষ্টা ও ধৈর্য্য।”)
29. “To move forward in life, just think positively. No need to think negatively. Critics will think negatively.If you think negatively, they will become otiose.”
(“জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শুধু পজিটিভ ভাবতে হবে। নেগেটিভ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। নেগেটিভ নিয়ে ভাববে সমালোচক, নিন্দুকরা। তুমি নেগেটিভ নিয়ে ভাবলে, তারাতো নিস্কর্মা হয়ে পরবে।”)
30. “It is easy to learn but difficult to teach.”
(“শেখা সহজ কিন্তু শেখানো কঠিন।”)
31. “Teachers’ knowledge is nothing but the combination of knowledge of the students they teach and even they learn to them.”
(“শিক্ষকদের জ্ঞান ছাত্রদের জ্ঞানের সংমিশ্রণ ছাড়া আর কিছুই নয় যা তারা শেখায় এবং এমনকি তারা তাদের কাছে শেখে।”)
32. “A teacher is the sun that brings hopes and possibilities and also plants the seed of confidence in the minds of the learners.”
(“একজন শিক্ষক হলেন সূর্য যে আশা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আসে এবং শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাসের বীজ রোপণ করে।”)

***** শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক নিয়ে আমার মতামত
শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী এক গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। এই সম্পর্ক শুধুমাত্র জ্ঞান আদান-প্রদান মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে। ছাত্র-ছাত্রী আছে বলেই শিক্ষক আছেন, শিক্ষক আছেন বলে ছাত্র-ছাত্রী তৈরি হচ্ছে। ছাত্রী ও শিক্ষকের সম্পর্ক এক গভীর বন্ধনে বদ্ধ, এই সম্পর্ক কখন তৈরি করা যায় না, এই সম্পর্ক আপনিতেই তৈরি হয়।
একজন শিক্ষকের প্রধান কর্তব্য / দায়িত্ব হল তার ছাত্র-ছাত্রীর মন এবং মনোযোগ -এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় সাধন করা। যদি তিনি মন এবং মনোযোগ দুটি বিষয়ের সমন্বয় সাধন করতে পারেন তাহলে ছাত্র বা ছাত্রী একদিন সাফল্যের চরম সীমায় পৌঁছাবেই।
একজন শিক্ষক যদি পৃথিবীর সমস্ত বই পড়ে ফেলেন, সেই বইয়ে পড়ে তিনি যে জ্ঞান অর্জন করবেন, তার থেকেও বেশী জ্ঞান অর্জন করবেন তিনি যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রীর মনকে পড়তে পড়েন। ছাত্র-ছাত্রী হল এমন এক বই যার মধ্যে সমস্ত জ্ঞান একজন শিক্ষক পেতে পারেন। শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের যত বিশ্লেষণ করবেন তিনি ততো জ্ঞান অর্জন করবেন।
শিক্ষকের জীবনে একমাত্র লক্ষ্য হলো তার ছাত্র-ছাত্রীকে সঠিক পথ দেখানো, সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া। আবার ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষককের দেখানো পথ অনুসরণ করা, তার উপদেশ কে মেনে চলা কারণ আমরা জানি শিক্ষক ছাড়া আমাদের এই সমাজ একদমই অচল।সাফল্য চরমসীমায় পৌঁছাতে হয় তাহলে শিক্ষকই হলো একমাত্র কারিগর যিনি তাকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। আমি মনে করি - “A teacher is the Sun that brings hopes and possibilities and also plants the seed of confidence in the mind of the learners.”
আর পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে কয়েকটি কথা বলি রেজাল্ট সব সময় ভালো-মন্দ মিশিয়েই হয়। হয়তো অনেক সময় দেখে থাকবে তোমার সহপাঠী তোমার থেকে রেজাল্ট ভালো করেছে কিন্তু তুমি যদি ভালো করে বিশ্লেষণ করো তাহলে দেখবে তোমার সহপাঠী তোমার থেকে 5 মিনিট হলেও বেশি পড়াশোনা করছে। আর প্রতিভা সবার মধ্যেই আছে শুধু সেটাকে সময়ে কাজে লাগাতে হবে, সময় অপচয় না করে সময়কে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাও, সঠিকভাবে পড়াশুনা করো, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো তাহলে প্রতিভা বা ট্যালেন্ট এমনিতেই বেরিয়ে আসবে। প্রত্যেকের মধ্যে ট্যালেন্ট আছে – Everyone has talent. হয়তো সকলের ট্যালেন্ট এক নয় কিন্তু পড়াশোনা করার করার যে সুযোগ তুমি পাও সেই সুযোগটাকে কাজে লাগালে তুমিও ট্যালেন্টেড হয়ে উঠবে। এ. পি. জে. কালাম বলেছেন - “All of us do not have equal talent. But we have the equal opportunity to develop our talents.”
ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকের সঙ্গে যত গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারবে, তাদের জ্ঞানের বিকাশ ততই ঘটবে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা ভাবে যে শিক্ষক মহাশয় আমাদেরকে ভালোবাসেন না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে ছাত্রীকে সমান ভালোবাসেন। আর খারাপ ভালো ছাত্রী আমার অভিজ্ঞতায় বুঝেছি যে সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার মনের ওপর, যার মন সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে সেই ভালো ছাত্র-ছাত্রী হয়ে ওঠে। ছাত্র-ছাত্রী মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে এবং তাহলে তোমার সুন্দর জায়গায় পৌঁছাবে। ভাগবত গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন: 'কর্মণ্যেব-অধিকারস্তে মা ফলেসু কদাচন', যার অর্থ, 'সক্রিয় হও, কখনই নিষ্ক্রিয় হয়ো না, এবং কাজের ফলাফলে প্রতিক্রিয়া দেখাও না।"
আজ কোথায় যেন ভালোবাসার অভাব লক্ষ্য করছি। একটু ভালবাসলে দেখবে সম্পর্কটা সুন্দর হয়ে উঠবে। আমরা জানি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক বিহীন কেউ নয়। আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক আমার পিতামাতা যাদেরকে অনেকদিন আমি হারিয়েছি তাদের চরণে আমার শতকোটি প্রণাম। শিক্ষক বিনা কোন ছাত্র-ছাত্রী জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীর সম্পর্ক যত গভীর হবে, জীবনে সাফল্য তত বেশি পাবে কারণ আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি তখন আমরা কিছু সহজাত বুদ্ধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। এরপর আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি সবই আমাদের শিক্ষকের দেওয়া। তোমার শিক্ষক তোমাকে যে শিক্ষা দান করেছে সেই শিক্ষার প্রকৃত শিক্ষা এবং তিনি হলেন তোমার প্রকৃত শিক্ষক। আমাদের প্রথম শিক্ষক পিতা-মাতা তারপর প্রাইভেট টিউটর ও স্কুলের শিক্ষকরা। “কোরান” -এর আয়াতে বলা হয়েছে – “আল্লাযী আল্লামা বিকলম আল্লামাল ইনসা নামলাম ইয়ালাম…”
আমাদের জীবনে প্রত্যেকের ভূমিকা অপরিসীম যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। শিক্ষক ছাড়া আমাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। বাইবেলে যীশু বলেছেন, “I am the vine; you are the branches. If you remain in me and I in you, you will bear much fruit; apart from me you can do nothing.”
ছাত্র-ছাত্রী তোমাদের মধ্যে সমস্ত শক্তি রয়েছে যা ব্যবহার করে তোমরা নাম অর্জন করতে পারবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে তোমাদেরকে একটা জায়গায় পৌঁছাতে হবে তার জন্য তোমাকে মনের শক্তি বাড়াতে হবে, পড়াশোনা দিয়ে তুমি তোমার নাম অর্জন করতে পারবে। পারবে ছাত্রজীবনে যাবে শিক্ষার অবদান যে তুমি রেখে যাবে তাতে যেন মানুষ তোমাকে শত শত বছর ধরে মনে রাখে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “All power is within you. You can do anything, everything.”
আমরা জানি যে শিক্ষা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল, কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। শিক্ষা প্রত্যেকের জীবনে একটি মহান ভূমিকা পালন করে। সঠিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ভালো চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। যে সকল শিক্ষার্থী সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করে, তারা সর্বদা তাদের শিক্ষক, তাদের পিতামাতাকে সম্মান করে। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, "আমরা এমন শিক্ষা চাই যার দ্বারা চরিত্র গঠন হয়, মনের শক্তি বৃদ্ধি পায়, বুদ্ধি প্রসারিত হয় এবং যার দ্বারা কেউ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।"
আমি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে চাই তোমরা সঠিক শিক্ষা গ্রহণ কর। এছাড়াও তোমরা এবং তোমাদের শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ককে সুসংহত কর। একটা কথা মনে রাখতে হবে শিক্ষক সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তান বলে বিবেচনা করে থাকেন। তারা সবসময় তোমাদের ভালোর জন 


Comments

Popular posts from this blog

ইংলিশ সেন্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছাবার্তা

আমাদের আঁইশমালী গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রায়শই আসতেন।

মোবাইল ফোন : বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম